প্রকল্পের বিস্তারিত বিবরণ

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগ (আইসিটি), ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সাংবিধানিক সংস্থা । বাংলাদেশ সরকার জন সাধারণের সেবাগুলি উন্নতি করার জন্য ইনফরমেশন টেকনলজি (আইটি) খাতে সক্রিয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। ইনফো-সরকার ৩য় পর্যায়ের প্রকল্পটির জন্য বাংলাদেশ সরকার সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

বর্তমান নেটওয়ার্ক বাংলাগভনেট (ইনফো-সরকার ১ম পর্যায়) এবং ইনফো-সরকার ২য় পর্যায় প্রকল্পটিকে বর্ধিত করে ইনফো-সরকার ৩য় পর্যায়ের প্রকল্পের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে প্রশাসনের সর্বনিম্ন স্তর যেমন উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য ইন্টারনেট সেবা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গত ২৪/০৭/১৬ তারিখে অনুষ্ঠিত ডমেস্টিক নেটওয়ার্ক কো-অরডিনেশন কমিটি (ডিএনসিসি) বৈঠকে ইনফো-সরকার ৩য় পর্যায়ের প্রকল্পের অধীনে ন্যূনতম ২৬০০ টি ইউনিয়নের সাথে সংযোগ স্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। নেটওয়ার্ক মনিটরিং সিস্টেম(এনএমএস) এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা এবং নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

বিটিসিএল ৪৫৮৫ টি ইউনিয়ন এর মধ্যে ১২১৩ টি ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ স্থাপন করেছে। ইনফো-সরকার ৩য় পর্যায়ের প্রকল্পের মাধ্যমে আরও ২৬০০ টি ইউনিয়নকে সংযোগ স্থাপন করা হবে। ইনফো-সরকার- ৩য় পর্যায়ের প্রকল্পটি সমাপ্তির পরে মোট ৩৮১৩ টি ইউনিয়ন সংযোগ স্থাপন নিশ্চিত হবে।

৭তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকে (৭তম এফওয়াইপি) বিবেচনায় নিয়ে সরকার উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন নেটওয়ার্ক সংযোগ স্থাপনের উপর জোর দিয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে বাংলাদেশ সরকার ইনফো-সরকার ৩য় পর্যায় প্রকল্পটি চালো করেছেন। ইনফো-সরকার ৩য় পর্যায় প্রকল্পটি বর্তমানে বিদ্যমান ‘জাতীয় ই-গভ নেটওয়ার্ক’ এর আওতায় ১৮৪৯৮ টি সরকারি অফিসকে রাজধানী ঢাকা থেকে ৪৮৮ টি উপজেলার মাধ্যমে সংযুক্ত করতে সহায়তা করবে।

প্রকল্পের স্থায়িত্ব নিশ্চিতকল্পে, বাস্তবায়নের সময় সরবরাহকারীর কাছ থেকে প্রকৌশলীদের প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) সাপোর্ট ব্যবহার করে উক্ত প্রকল্পের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। জিওবি এর অর্থায়নে খোলা দরপত্র পদ্ধতি এর মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান দ্বারা পুলিশের কাজের অংশবিশেষ বাস্তবায়ন করা হবে।

উদ্দেশ্যঃ

এটি একটি ই-গভর্নমেন্ট অবকাঠামো প্রকল্প, যা ইউনিয়ন পর্যায়ে সেবা প্রদানের জন্য জনসাধারণকে সহায়তা করবে। ইনফো-সরকার ৩য় পর্যায় প্রকল্পটি সরকারের ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজি (আইসিটি) উন্নয়ন পরিকল্পনার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল নিম্নরূপ:

১। বাংলাগভনেট এবং ইনফো-সরকার ২য় পর্যায়ের অধীনে বিদ্যমান ৪৬০০ ইউনিয়ন থেকে ২৬০০ টি নির্বাচিত ইউনিয়ন সমূহকে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করা হবে।

২। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষে বিভিন্ন দপ্তর, বিদ্যালয়, কলেজ, গ্রোথ সেন্টার এবং নিম্নস্তরের কার্যালয়সমূহে ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করা হবে।

৩। জাতীয় আইসিটি নীতি ২০১৫ এর লক্ষ্য অর্জনের জন্য গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ই-সার্ভিসের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হবে।

৪। ন্যাশনাল আইসিটি নেটওয়ার্কের সাথে বাংলাদেশ পুলিশ নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করতে; জিওবি এর আওতায় পুলিশ ইউনিটের সর্বস্তরে অবাধ তথ্য যোগাযোগ নিশ্চিত করা হবে।

৫। ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজি (আইসিটি) ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করবে।

কাজের বিবরণঃ

১। নেটওয়ার্ক সংযোগ সম্প্রসারণ: ২৬০০ টি ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল এর মাধ্যমে নেটওয়ার্ক সমপ্রসারিত করা হবে।

২। ডিডব্লিউডিএম নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা: বর্ধিত ব্রডব্যান্ড চাহিদা মেটাতে ৬৪ টি জেলায় এবং ৪০০ টি উপজেলায় ডেন্স্ড ওয়েভলেন্থ ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং (ডিডব্লিউডিএম) নেটওয়ার্ক স্থাপন/ সম্প্রসারণ করা হবে।

৩। প্রধাণত নেটওয়ার্কের ক্ষমতা বর্ধিত করার লক্ষেঃ এটি উপজেলা পর্যায়ে ১০ গিগাবিট প্রতি সেকেন্ডে ক্ষমতার নেটওয়ার্ক এবং জেলা পর্যায়ে ১০০ গিগাবিট প্রতি সেকেন্ডে উচ্চ ক্ষমতার নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি নিশ্চিত করা হবে।

৪। ২৬০০ টি ইউনিয়ন পয়েন্ট অফ প্রেজেন্স (পিওপি) প্রতিষ্ঠা করাঃ ইউনিয়নের অফিস, বিদ্যালয়, কলেজ ও গ্রোথ সেন্টার, ইত্যাদি ব্রডব্যান্ড সংযোগ প্রদান করা হবে।

৫। বাংলাদেশ পুলিশের ১০০০ টি অফিসের মধ্যে সংযোগ সংস্থাপন করা হবে।

৬। নেটওয়ার্ক মনিটরিং সিস্টেম (এনএমএস) প্রতিষ্ঠা করাঃ নেটওয়ার্ক এর কার্যকলাপ এবং সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম নিরীক্ষণ ও পরিচালনা করার জন্য নেটওয়ার্ক মনিটরিং সিস্টেম (এনএমএস) স্থাপন করা হবে।

৭। প্রশিক্ষণ ও জ্ঞান স্থানান্তর: প্রাসঙ্গিক প্রশিক্ষণ কার্যকলাপগুলো দেশে এবং বিদেশে ব্যবস্থা করা হবে।

প্রকল্পের ফলাফলঃ

প্রস্তাবিত সরকারি নেটওয়ার্ক প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত সম্ভাব্য সুবিধাগুলি নিম্নোক্ত:

উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন নেটওয়ার্ক: ১ম ও ২য় পর্যায় প্রকল্পটি ছিল শহর কেন্দ্রিক, ইনফো-সরকার ৩য় পর্যায়ের প্রকল্পটি একটি বর্ধিত প্রকল্প এবং এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সকল স্তরের জনগণ ডিজিটাল বাংলাদেশের আওতায় অন্তর্ভুক্ত হবে। ইনফো-সরকার ৩য় পর্যায়ের নেটওয়ার্কটির একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল উচ্চ গতির অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপনের মাধ্যমে ইউনিয়ন স্তরে ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা হবে।

প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা সহজতর করা: নেটওয়ার্কটি সহজেই নজরদারি, পরিচালিত এবং নিয়ন্ত্রিণ করা হবে একটি কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্ক মনিটরিং সিস্টেম (এনএমএস) এর মাধ্যমে।

উচ্চ দক্ষতা এবং সমন্নয়: বৃহৎ পরিসরে নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্তি সরকারের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে এবং ভ্রমণের খরচ কমিয়ে দেবে।

প্রকল্পের কাজসমূহঃ

১। নেটওয়ার্কের সামর্থ উন্নত করাঃ নাগরিকদের আরও ভাল সেবা প্রদানের জন্য, নেটওয়ার্ক-এর পাশাপাশি ব্যান্ডউইথকেও উন্নত করা হবে। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের নেটওয়ার্কে শক্তিশালী করার লক্ষে ডেন্স্ড ওয়েভলেন্থ ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং (ডিডব্লিউডিএম) সরঞ্জাম সরবরাহের মাধ্যমে উচ্চতর ব্যান্ডউইথ নিশ্চিত করা হবে। প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে ১০ জিবিপিএস ক্ষমতার নেটওয়ার্ক এবং জেলা পর্যায়ে ১০০ জিবিপিএস ক্ষমতাসম্পন্ন নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করা হবে।

২। ইউনিয়ন পর্যায়ে সংযুক্তি প্রসারিত করাঃ উপজেলা থেকে ইউনিয়নগুলিতে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপন করে আইসিটি পরিসেবার দ্বারা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হবে । কেন্দ্র নির্মান করা যা নেটওয়ার্কিং হাব হিসাবে সরকারি সংস্থা, টেলিকম অপারেটর, স্থানীয় আইএসপি এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রধান করা হবে।

নির্বাচন মানদণ্ড: বিটিসিএল প্রকল্পের আওতায় ইউনিয়নগুলি নির্বাচিত হবে না। ভৌগলিকভাবে অপেক্ষাকৃত ভাল ইউনিয়নগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

৩। পুলিশ অফিস সংযুক্তি: বাংলাদেশ পুলিশ এর জন্য ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা হবে, সারা দেশে বাংলাদেশ পুলিশ অফিসের মধ্যে তথ্য যোগাযোগ নিশ্চিত করা হবে। বাংলাদেশ পুলিশ এর জন্য অত্যন্ত নিরাপদ নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য কারণ সারা দেশের পুলিশ অফিসগুলিকে যেমন পাসপোর্ট এর জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, এফআইআর ইত্যাদির মত বিভিন্ন আবেদন সরবরাহ প্রয়োজন হয় যা বাংলাদেশ ঢাকা পুলিশ ডেটা সেন্টারে সরবরাহ করা হয়, যা নাগরিক সেবা উন্নত করতে পারে। বাংলাদেশ পুলিশের মতে, বাংলাদেশ জুড়ে অনেক অফিস আছে, যা এখনো জাতীয় নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত হয় নাই। জাতীয় নেটওয়ার্কের সাথে বাংলাদেশ পুলিশ নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করা প্রয়োজন। প্রকল্পটির অধীনে, এই অবস্থানগুলো বিটিসিএল/ এনটিটিএন/অন্য যে কোন আইএসপি লিমিটেড এর লাইনের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হবে। বাংলাদেশ পুলিশ এর জন্য পৃথক ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) তৈরি করা হবে, যা বর্তমানে সংযুক্ত সাইটগুলি্কেও অন্তর্ভুক্ত করবে। বাংলাদেশ পুলিশের জন্য নেটওয়ার্কটি বাংলাদেশ পুলিশ দ্বারা শাসিত, পরিচালিত এবং নিয়ন্ত্রিত হবে।

৪। নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম: সমগ্র নেটওয়ার্কটি জাতীয় নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট সেন্টার থেকে নিরীক্ষণ ও পরিচালনা করা হবে। প্রয়োজন মেটানোর জন্য প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার ইনস্টল করা হবে এবং প্রয়োজনীয় সফ্টওয়্যার লাইসেন্সগুলি সংগ্রহ করা হবে।

৫। বিদেশী সফরঃ আইসিটি ডিভিশন, বিসিসি, ইআরডি, পরিকল্পনা কমিশন, আইএমইডি থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বিদেশী সফর বিশেষ করে চীনে আয়োজন করা হবে যাতে উন্নত ই-গভার্নমেন্ট অ্যাপ্লিকেশন এবং আইসিটি অবকাঠামোর উপর ব্যবহারিক আইসিটি জ্ঞান অর্জন করতে পারে।

৬। স্থানীয় প্রশিক্ষণ: এই ধরনের একটি বড় নেটওয়ার্ক পরিচালনা ও বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের/প্রকৌশলী/প্রযুক্তিবিদদের জন্য স্থানীয় প্রশিক্ষণ পরিচালনা করা হবে।

জনসংখ্যা কাভারেজঃ

২৬০০ টি ইউনিয়নে সংযোগ স্থাপনের জন্য এবং দেশব্যাপী জাতীয় নেটওয়ার্কের পরিসর প্রসারিত করার জন্য এই প্রকল্পটি সম্পন্ন করা হবে। কমপক্ষে ৬০% থেকে ৭০% জনগন লোক সরাসরি এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হবে।

প্রকল্প অফিস এবং অন্যান্য ব্যবস্থা:

প্রকল্পটির প্রধান কার্যালয় আগারগাঁও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭ এ হবে। প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন ইউনিট (পিআইইউ) এবং ঢাকা অফিস পিআইইউ অফিসারদের দ্বারা পরিচালিত হবে।

এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকার সকল স্তরের সাহায্য ও সহযোগিতা করবে। ঢাকায় প্রধান কার্যালয় থেকে সমস্ত নেটওয়ার্ক সহায়তা কেন্দ্র পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করা হবে। প্রকল্পটি একটি টার্ণকি প্রকল্প এবং এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রকল্পের কার্যক্রম স্থায়ীত্ব নিশ্চিত করার জন্য বাস্তবায়নের সময় স্থানীয় অংশীদারিত্ব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

দেশব্যাপী নেটওয়ার্কের বিদ্যমান প্রধান সংযোগ অবকাঠামোর মাধ্যমে সম্প্রসারিত হবে যেমন বিটিসিএল এবং/অথবা এনটিটিএন। বিটিসিএল এবং/অথবা এনটিটিএন প্রধান সেবা সরবরাহকারী সংস্থা হবে এবং নেটওয়ার্কটির জাতীয় সংযোগ প্রদান করবে এবং প্রকল্পটির সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অন্যান্য সংস্থার সুবিধা এবং সমর্থন বিশেষ ক্ষেত্রে বিবেচনা করা যেতে পারে।